পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর সর্বশেষ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আলম বাংলানিউজকে বলেন, জেলার চার উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পাউবো বলছে, ভারী বর্ষণ বা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পুরো ২২ কিলোমিটার যে কোনো সময় বাঁধ ধ্বসে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে হুমকির মুখে পড়বে জনজীবন।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুম এলেই নদী ভাঙন বেড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এ মৌসুমও উপকূলবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। একের পর এক দুর্যোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন উপকূলের মানুষজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী (সিপিপি) ভোলার উপ-পরিচালক মোশ সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ মাস ঝড়ের মৌসুম। তবে জুন-জুলাই বর্ষা মৌসুম। এসময় সাধারণত নদী ভাঙন বেড়ে যায়। তবে অক্টোবর-নভেম্বরের আগে আপাতত বড় ধরনের দুর্যোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের মধ্যে ভোলা পাউবো ডিভিশন-২ এর তজুমদ্দিনে উপজেলার ৭ কিলোমিটার, লালমোহন উপজেলার ৩ কিলোমিটার, মনপুরা উপজেলার সাড়ে ৮ কিলোমিটার এবং চরফ্যাশন উপজেলার ৪ কিলোমিটার রয়েছে। এসব বাঁধ অতি মাত্রার ঝুঁকি বা দুর্বল অবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাউবো-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘২২ কিলোমিটার বাঁধ পুরোটাই ঝুঁকিতে আছে বলা যায়। কিছু এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যারমধ্যে মনপুরায় দেড় কিলোমিটার ও তজুমদ্দিনে সাড়ে ৩ কিলোমিটার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
জিপি