শনিবার (১৫ জুন) সকালে দশমিনা উপজেলার নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে উপজেলার হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ২৫০ ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে রাস্তার দুইপাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে এদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী সফর শেষ হওয়ার পর তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে এভাবে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকেরাও।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের বৃষ্টির মধ্যেই সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এছাড়া প্রতিমন্ত্রীও ক্ষমতাসীন দলের। এজন্য কেউ প্রকাশ্যে কথা বলছেন না। জেলার সব মহলেই এ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রী আসবে শুনে উৎসুক শিক্ষার্থীরা নিজেরাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়নি।
তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম মিয়া প্রতিমন্ত্রীর প্রোগ্রামে তাকে থাকার নিদের্শ দিয়েছেন বলে জানান মোহাম্মদ হোসেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা কোনো ভিআইপিকে শুভেচ্ছা জানাবে এমন কোনো বিধান নেই। যদি এমনটা ঘটে থাকে, তবে সেটা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতি উৎসাহিত হয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রীর সফর সূচি অনুযায়ী, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ১৪ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজেলাগুলোর নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
ওএইচ/