ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি তুরিন আফরোজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি তুরিন আফরোজের বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। 

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর প্রেসক্লাবে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।  

বৈঠকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, আমার মানচিত্র বাংলাদেশ, আমার পতাকা লাল-সবুজ, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমার জীবনের একমাত্র বাস্তবতা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ।

তাই, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে আমি কোনো আপোষ করবো না।

উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশ আপনাদের। আপনাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ দেশ। আমরা যে যেখানে যে পদে আসীন হয়েছি, যে সুবিধাই নিচ্ছি না কেন, তা আপনাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বাঙালির দৌঁড় হতো বড়জোর পাকিস্তানিদের খানসামা হওয়া পর্যন্ত। কাজেই, কেউ যদি আপনাদের বিন্দুমাত্র অসম্মানের চেষ্টা করে, সে যে-ই হোক না কেন, এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন। যেমনটি আপনারা গর্জে উঠেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে।

মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানকারীদের হুশিয়ার করে ব্যারিস্টার তুরিন বলেন, এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের– এ ধ্রুব সত্যটি মানতে আপনাদের কষ্ট হলে দয়া করে পাকিস্তান চলে যান। সেখানে আপনাদের পূর্বপুরুষরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেবে। কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে থেকে তাদের অপমান করা বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকলেও, মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কোনো সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। অথচ আফ্রিকার অনেক পিছিয়ে পড়া দেশেও তা রয়েছে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। তাই তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।

মো. রুস্তম আলী মোল্লার সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কামাল আহমেদ।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. এম এ হাসান, ম. হামিদ, তারেক আলী, অধ্যাপক এম এম আকাশ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।