ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কথা রাখেনি আষাঢ়!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
কথা রাখেনি আষাঢ়! গরমে প্রশান্তির জন্য মুখে পানি দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে/ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে’ কবিগুরুর এ কবিতা এখন কেমন যেন মনে হচ্ছে! আজ আষাঢ় মাসের প্রথম দিন। কিন্তু, কোথায় সে বৃষ্টি? কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে রাজশাহীর জনজীবন ওষ্ঠাগত। 

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বাদল দিনের বর্ষণে সিক্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। ব্যতিক্রম ছিল রাজশাহী।

বর্ষার প্রথম কদম ফুল খুঁজতে বেরিয়ে হতাশ না হলেও, বৃষ্টি নিয়ে হতাশ হয়েছেন সবাই। আষাঢ় এসে গেলেও রাজশাহীর আকাশে এখনও মেঘ জমেনি। রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করছে তারাগুলো। বৃষ্টির কোনো লক্ষণই নেই।  

তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাঁসফাঁস গরম থেকে সহসা মুক্তির সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। সকাল থেকে শুরু করে গোধূলি লগ্নের আগ পর্যন্ত সমানে তাপ বিলিয়েছে সূর্য। এতে অস্থির হয়ে পড়ছেন রাজশাহীবাসী। বিশেষ করে, শহুরে মানুষ ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি পাচ্ছেন না। বৃষ্টিবিহীন আবহাওয়ায় ঘরের চেয়ে বাইরের অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ। প্রতিদিনই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৫ জুন) রাজশাহীতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরমের মাত্রা কমেনি। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় ৫১ শতাংশ।  

এর আগে, শুক্রবার (১৪ জুন) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর ওপর দিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এসএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।