ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশিও কাজে লাগাতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
‘বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশিও কাজে লাগাতে হবে’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ কিনারা ঘেঁষে রয়েছে উপকূল, চর ও দ্বীপ, ব-দ্বীপ, উপদ্বীপ। যা গোটা দেশ ও জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের সোপান। এই সাগরের নাম বাংলার নামেই হয়েছে, এটা আমাদের পরম পাওয়া। দেশের উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশিকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য গবেষণা দরকার। 

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদ আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জিং অব ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।  

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকৃতিকে মেনে নিয়ে আমাদের চলতে হবে।

সাপকে পোষ মানিয়ে আমাদের চলতে হবে। বঙ্গোপসাগর যদি ফণা তোলে তবে আমরা টিকতে পারবো না। একই ভাবে সাপের মতো বঙ্গোপসাগরকে পোষ মানিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে একে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বিশাল একটা জলরাশি। আমাদের এটা আত্ম-পরিচয়। আমাদের একটা রোড ম্যাপ রয়েছে সে অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরকে কাজে লাগাবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের সচেতন হবে। বঙ্গোপসাগর ও ঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা টিকতে পারবো না। বৈজ্ঞানিকভাবে এর সঙ্গে চলতে হবে। সরকার এই মাটিতে সোনালী স্বপ্ন ফলাতে বদ্ধপরিকর।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে এমএ মান্নান বলেন, মাটিতে সবাই হাত পা ছেড়ে থাকতে চায়। তবে আমরা হুমকিতে আছি। আর এই হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি। একটা কথা বলি- নদী নিয়ে খেলা, সাগর নিয়ে খেলা, প্রকৃতি নিয়ে খেলা আগুন নিয়ে খেলার সামিল।  

‘এই খেলা আমাদের বন্ধ করতে হবে। না বুঝে খেললে আমাদের সব কিছু বিলীন হয়ে যাবে। প্রকৃতির সব কিছু মেনে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে ব্লু –ইকোনোমির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ক্লাইমেট চেঞ্জ অনেক বড় একটা বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য জমির সদ্ব্যবহার করতে হবে।  

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদের আহ্বায়ক আশরাফ ইবনে নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।