এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে ভিকটিমের স্বজনরা থানার স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম।
তিনি বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি।
ভিকটিম (কৃষক) ও তার স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া গ্রামের একটি মসজিদের প্রধান দরজা খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী হোসেন আলী মাস্টারের সঙ্গে মুসল্লিদের বিরোধ চলছিলো। এই নিয়ে কয়েকদিন আগে হোসেন আলীর সঙ্গে ভিকটিমসহ অন্যান্য মুসল্লিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) মসজিদ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে স্থানীয় হাসেম আলী মাস্টারের ছেলে মাসুদ আলী এবং দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮জন মিলে ভিকটিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে ন্যাড়া করে ভিকটিমের মাথায় আলকাতরা দেয় তারা।
পরে আহতাবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মাসুদ আলী বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান ভালো জানেন, তার কাছ থেকে আপনি জেনে নিন।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/