ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নকলায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
নকলায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার

শেরপুর: শেরপুরের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, যেহেতু ১৮ জুন নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, সেহেতু নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তাকে নকলা থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (১৪ জুন) একই অভিযোগে ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের নকলা পৌর শহরের কায়দা গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে শফিউল্লাহর সঙ্গে জমি নিয়ে তারই বড়ভাই আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিম উল্লাহর (৪৪) দেওয়ানি মামলা চলছিল।

গত ১০ মে সকালে ওই এলাকার গোরস্থান সংলগ্ন শফিউল্লাহর দখলে থাকা জমির ইরি-বোরো ধান আবু সালেহ ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কাটতে গেলে তিনি বাধা দেন। পরে আবু সালেহর নেতৃত্বে একদল লোক ধান কাটতে শুরু করলে শফিউল্লাহর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানম বাধা দিতে গেলে আবু সালেহর হুকুমে তার ছোটভাই সলিমউল্লাহ, ভাইয়ের বউ লাকী আক্তারসহ আরও অনেক তাকে ঘেরাও করে ফেলে।

এক পর্যায়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে তাকে টেনে-হেঁচড়ে পাশের ক্ষেতের আইলের থাকা একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। এতে ওই নারী গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করলেও পরবর্তীতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এদিকে ঘটনার এক মাস পর গত ১১ জুন (মঙ্গলবার) নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১২ জুন নকলা থানা পুলিশ নির্যাতিতাকে বাদী করে নয় জনের নামোল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা রেকর্ড করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।