শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টার দিকে নদীর হাজিয়ান পয়েন্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে নেমে সে নিখোঁজ হয়।
মুজিবুর হাজিয়ান আমতলী গ্রামের মো. দুদু মিয়ার ছেলে। সে হাজিয়ান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহত মাদ্রাসাছাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নদীর পাড় থেকে গরু আনতে যায় মুজিবুর। একপর্যায়ে সে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। তখন ধারণা করা হয়, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে সৃষ্ট গর্তে আটকা পড়ে সে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালালেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। এমনকি স্থানীয় লোকজন জাল ফেলেও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পরে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি দল এসে পরদিন শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে সৃষ্ট চোরাবালির গর্তে আটকা পড়ে মুজিবুর। দীর্ঘ চেষ্টার পরও তার হদিস না পাওয়ায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি এনে যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এসবি/আরবি/