শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকা এবছর প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনান্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। পরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এক কথায় এবারের বাজেটকে কী বলে আখ্যায়িত করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারেরর বাজেট জনকল্যাণমুখী বাজেট। সব মানুষের কাজে লাগবে।
বাজেট বক্তৃতায় ‘সোনালি যুদ্ধে’র কথা বলা হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্য যে যুদ্ধ, দেশের কল্যাণের জন্য যুদ্ধ সেটাই সোনালি যুদ্ধ। এ যুদ্ধ দেশের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য। এই যুদ্ধ কোনো ধ্বংস বা অকল্যাণের যুদ্ধ নয়।
পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন দেখতে চাই। একটি শক্তিশালী অর্থনীতির পাশাপাশি আমরা দেখতে চাই একটি বিকশিত পুঁজিবাজার। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহে গ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত থাকবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বিশেষ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বাজেট। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংগ্রহ করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা; যা মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ২ শতাংশ।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এমআইএস/এমএ