শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর সাগর দিঘীরপাড় এলাকার আপন ব্লু টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহানা বেগম জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরের মাটি গ্রামের আব্দুল আহাদ ও ফাতেমা দম্পতির মেয়ে।
ভবনের বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সময় ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়েছিল শাহানা বেগম। কিছুক্ষণ পর আপন ব্লু টাওয়ার ও আপন হোয়াইট টাওয়ারের মাঝখানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন ভবনের বাসিন্দারা।
খবর পেয়েই কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তাদের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গৃহকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, লাভলী ও শাহানা নামে দুইজন গৃহকর্মী আমার বাসায় কাজ করে। শাহানা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে জানতে পারি, সে ছাদ থেকে নীচে পড়ে মারা গেছে।
শাহানার সহকর্মী লাভলী বেগম বলেন, দুপুরে শাহানার মন খারাপ ছিল। এ জন্য নামাজও পড়েনি। বিকেলে আমি বাসাতেই ছিলাম। ওই সময় শাহানা কাপড় শুকাতে দিতে ছাদে যায়। পরে অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় শহানাকে খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, সে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। শাহানা প্রায়ই মোবাইলে কথা বলতো বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শাহানার মোবাইলটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন রায়।
ওই ভবনের সপ্তম তলার একটি বাসার গৃহকর্মী আবুল মিয়া জানান, তিনিও ছাদে কাপড় শুকাতে দিয়ে লিফটে করে নেমে আসেন। পরক্ষণে জানতে পারেন যে, মেয়েটি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসার ছাদের নাইলনের যে রশিতে শাহানা কাপড় শুকাতে দিয়েছিলেন, সে রশিটি ছেঁড়া।
মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বাংলানিউজকে জানান, সুরক্ষিত ছাদ থেকে জোরপূর্বক বা ইচ্ছাকৃতভাবে না হলে, সজ্ঞানে কেউ নীচে পড়া সম্ভব না। এ বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শাহানার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত শাহানার সহকর্মী লাভলী বেগম এবং ওই ভবনের সপ্তম তলার একটি বাসার গৃহকর্মী আবুল মিয়াকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এনইউ/এসএ