শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলার চর আবুপুর গ্রামের দুর্গম চর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিয়াম শিবপুর উপজেলার কারার চর এলাকার নুরু উদ্দিনের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন বিকেলে শিশু সিয়াম খেলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। বাড়ির আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে অপহরণকারীরা সিয়ামের মায়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কথামতো ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার পরও তাকে ফিরিয়ে না দেওয়ায় ৯ জুন শিশুটির বাবা নুরু উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর পরেই তদন্তে মাছে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক সন্দেহে সিয়ামের দূর সম্পর্কের মামা সাফায়েতকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে অপহরণের কথা স্বীকার করে সাফায়েত জানায়, সিয়াম তার ভাগিনা হওয়ার কারণে মুক্তিপণ নেওয়ার পর যদি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় সে সবাইকে তার কথা বলে দেবে। ধরা পড়ার ভয়ে সে সিয়ামকে নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে বরিশালে চলে যায়। পরে তাকে হিজলা উপজেলার চর আবুপুর গ্রামের দুর্গম চরে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে আসে।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুপম কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আটক সাফায়েতের দেওয়া তথ্য মতে আমরা সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করি। সাফায়েত তার পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সিয়ামকে হত্যা করে।
শিশু সিয়ামের মরদেহ নরসিংদী নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
জিপি