শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে মোরেলগঞ্জ বাজারের আড়ৎ থেকে মাছটিকে কেনেন শাহ আলম মাতুব্বর। পরে সেটা প্রতিকেজি মাছ ২ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করেছেন তিনি।
মোরেলগঞ্জের মৎস্য ব্যবসায়ী শাহ আলম মাতুব্বর বলেন, খুলনার মৎস্য ব্যবসায়ীরা আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকায় মাছটি ক্রয় করি। পরে কেটে ২ হাজার টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি করেছি। মাছটির সাধারণত পাওয়া যায় না এবং ওষুধি গুণ থাকায় এলাকার মানুষ বেশি দামে কিনছে।
তারা খুলনার জেলেদের কাছ থেকে মাছটি ক্রয় করেছিল। খুলনার জেলেরা রূপসা নদী থেকে মাছটি ধরে চড়া দামে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে বলে জানান শাহ আলম মাতুব্বর।
মুখের সামনে খাঁজকাটা লম্বা করাতের মতো একটা কাঁটা আছে। হয়তো এ কারণে মাছটির নাম করাতি হাঙর। স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের ভাষায় খটক মাছ। সচরাচর এ মাছ দেখা না গেলেও মাঝে-মধ্যে বিশালাকৃতির খটক মাছ ধরা পড়ে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, খটক মাছ খেলে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার, হৃদরোগ ও যক্ষ্মা ভালো হয়। এ বিশ্বাস থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বেশি দামে মাছটি ক্রয় করে খায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমল কান্তি রায় বলেন, করাতি হাঙর বা খটক মাছ যে নামেই বলেন- এটি সমুদ্রের মাছ। মাছটি অনেক বড় হয়। সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তবে সেটি লোকালয়ে বিক্রি হয় না। স্থানীয় জেলেদের জালে ধরা পড়লে পরে বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে দুরারোগ্য ব্যাধি ভালো হয় বলে আমার জানা নেই। আর এমন কোনো গবেষণার ফলাফলও নেই আমাদের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এসএইচ