ঢাকা, শুক্রবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
‘নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না’

ঢাকা: নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাপা ও ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সরকারের নদী উদ্ধারে সাম্প্রতিক তৎপরতা: আদি বুড়িগঙ্গা ও সোনাই নদী বাস্তবতা’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাপার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, স্থানীয় এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা যৌথভাবে সরকারের নদী বিষয়ক সব কাজ ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পাশাপাশি তারা বিভিন্ন অপকর্মও করে যাচ্ছেন। নদী বাঁচাতে স্থানীয় সরকার প্রশাসন ও স্থানীয় এমপিদের কাছে আমাদের অনুরোধ- দয়া করে নদী রক্ষায় সহযোগিতা করুন। সরকারকে সহযোগিতা করুন। যাতে নদীগুলোকে আমরা উদ্ধার করতে পারি। নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি একটি কথা বিশ্বাস করি যে, ভবিষ্যতে নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য অভ্যুত্থান হবে। তা না হলে এদেশে বসবাস করা যাবে না।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের নদীগুলো রক্ষায় কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- নদী পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, দখলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শাস্তি নিশ্চিত করা, নদীর সীমানা নির্ধারণের সিএস কিংবা আরএসভিত্তিক ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও শাস্তির মাধ্যমে নদী রক্ষায় সচেষ্ট করা এবং খননের নামে দেশের সকল নদীকে নালা বা খালে পরিণত করার চলমান কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা।

বাপার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন মুরশিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।