ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘চট্টলা এক্সপ্রেসে’ ডাকাতি: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
‘চট্টলা এক্সপ্রেসে’ ডাকাতি: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কমিটি, ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী এলাকা অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রামগামী ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি শেষে ডাকাত দল ট্রেনের তিনটি বগির ছাদের হোস পাইপ খুলে মুহুরীগঞ্জ রেলসেতুর কাছে থামিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. শামসুদ্দিন শামস এনডিসির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ফেনী, কালীদহ ও মুহুরীগঞ্জ রেলস্টেশন ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন (চট্টগ্রাম রেলওয়ে জিআরপি) পুলিশ সুপার নওরোজ হাসান তালুকদার, লাকসাম রেলওয়ে পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন, ফেনী সদর সার্কেল ঐক্য সিং, ফেনীর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাহবুবুর রহমান, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ, ফেনী জিআরপি পুলিশ উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।

শামসুদ্দিন শামস বলেন, ঘটনার রাতে কিছু কিছু যাত্রী স্টেডিং টিকিট কেটে তারা ছাদে উঠে যায়, ফেনী স্টেশন অতিক্রম করার পর ২০ মিনিটের দূরত্বে কতিপয় যাত্রী বেশী ১০/১২ জনের ডাকাত দল ছাদের ঈদ ফেরত যাত্রীদের ওপর চড়াও হয়। তাদের মারধর ও ছুরিকাহত করে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।

এসময় ডাকাতরা তিনটি বগির হোস পাইপ খুলে মুহুরীগঞ্জ রেলসেতুর কাছে ট্রেনটি থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রেলের কর্মচারীরা হোস পাইপ মেরামত করে দ্রুত ট্রেনটি সীতাকুণ্ড স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড জিআরপি ও সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রেলওয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আমরা বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে এসেছি। ডাকাতির সত্যতা পেয়েছি। এটি লাকসাম থানার মধ্যে পড়েছে। ওই থানায় ডাকাতি মামলা হয়েছে।

ঘটনার ধারণা নেওয়া, তথ্য নেওয়া, আলামত জব্দ করা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের জবানবন্দি নিচ্ছি। ডাকাতি সদস্যদের আটকে চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি, নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করে তাদের ধরতে পারবো।

আগামীতে ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পাশাপাশি যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে উঠা বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এর আগে বুধবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী এলাকা অতিক্রম করার সময় ডাকাতির কবলে পড়ে। এসময় ডাকাত দল ট্রেনের তিনটি বগির ছাদ থেকে যাত্রীদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে যাত্রীদের শৌর চিৎকারে ডাকাতরা ট্রেন থামিয়ে মুহুরীগঞ্জ রেল সেতু এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।