মঙ্গলবার (১১ জুন) দিনগত রাতে ভিকটিমদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভর্তিরতদের মধ্যে উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) ও বরিশাল সদর উপজেলার ইছাগুড়া এলাকার ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিমের মা প্রতিবেশি রাকিব গাজীর মায়ের সঙ্গে কিস্তির টাকা জমা দিতে বাড়ি থেকে দূরে একটি এনজিওর কার্যালয়ে যান। এই সুযোগে শিশুটিকে কৌশলে নিজেদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে রাকিব। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে রাকিব সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর রাকিবের মা ঘরে ফিরে শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। এদিকে শিশুটিকে বাড়ি ও আশপাশে খুঁজে না পেয়ে তার মা রাকিবের ঘরে গিয়ে মেয়ের এ অবস্থায় দেখে তাকে বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বাংলানিউজকে বলেন, একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই উজিরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মেয়েটিকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এছাড়া গুঠিয়া ইউনিয়নের ঘটনায় ভিকটিমের স্বজনরা এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটির স্বজনদের খোঁজাখুজি করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রাকিব গাজী (১৮) পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত রাকিব গাজী বান্না গ্রামে জাফর গাজীর ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এমএস/এএটি