আহতরা হলেন তপন জ্যোতির স্ত্রী ধানু ত্রিপুরা (২০), শ্বশুর মশারা ত্রিপুরা (৫০) ও শাশুড়ি সুমালা ত্রিপুরা (৪০)।
আহতদের মধ্যে মশারাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দিনগত রাতে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের দুর্গম হেলাদুলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই যুবক পলাতক রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা বলেন, আহত তিনজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মশারা নামে একজনকে রাতেই চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত ধানু ত্রিপুরার ছোট বোন পনি ত্রিপুরা বলেন, তিন বছর আগে পরিবারের অমতে ধানু ও তপন বিয়ে করেন। উভয় গার্মেন্টস শ্রমিক। এরপর থেকে তাদের সংসারে কলহ চলে আসছিল। গত ১৭ এপ্রিল উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এরপরও তপন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। রাতে বাসায় এসে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আমার মা, বাবা আর বোনকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এডি/এএটি