এই সুযোগে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করছে লঞ্চগুলো। বিআইডব্লিউটি-এর কর্মকর্তারা লঞ্চঘাটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বুধবার (১২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে ঘাট ত্যাগ করছে। ঈদ স্পেশাল দুটি লঞ্চ থাকার কথা থাকলেও তা নেই। বরং নিয়মিত সিডিউল লঞ্চগুলো দেখা গেছে। যাত্রীরা কয়েকঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কোনো উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু লঞ্চে ওঠার মতো কোনো জায়গা না থাকায় অপেক্ষা করছি। পরবর্তী লঞ্চের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।
রায়পুর থেকে আসা যাত্রী সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে লঞ্চে উঠেছি। বসার মতো কোনো জায়গা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বাংলানিউজকে জানান, অতিরিক্ত যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো থেকে বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট হারে নেন।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন ও আজগর আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের একদিন পর থেকে যাত্রীর চাপ বেশি। আগামী শনিবার পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে। এরপর স্বাভাবিক হবে।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বরত ট্রাফিক পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো কথা না বলে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আ. রাজ্জাকের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এনটি