মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপর ফাটলের আকার বেড়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
এদিন রাতে স্থানীয় প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে সবধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাতে সেতুটি পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, মাথাভাঙ্গা সেতুটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। মঙ্গলবার নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেই ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। তাই তিনি সেতুটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনা রোধে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৬০ বছর বয়সের মাথাভাঙ্গা সেতুতে এর আগেও বড় একটি ফাটল দেখা দিয়েছিলো। সেখানে পাটাতন দিয়ে কোনো রকমে চলছিলো সেতুটি। বিকেলে সেই ফাটলের পাশেই আবারো আরো একটি ফাটল দেখা দেয়। নতুন ফাটলস্থল দেবে সেখানেও বড় গর্তের সৃষ্টির হয়।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসডি) আদম আলী জানান, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ফাটল দেখা দেওয়ার পর পরই যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে সকাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
মাথাভাঙ্গা সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধের কারণে সেতুটির দু’পাশে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়েছে। অনেকে বিকল্প পথ দিয়েও চলাচলের চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
আরবি/