ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনীতে স্কুল পিয়ন শফি হত্যা: স্বীকারোক্তি দিলেন রাব্বি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
ফেনীতে স্কুল পিয়ন শফি হত্যা: স্বীকারোক্তি দিলেন রাব্বি 

ফেনী: ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন মো. শফি উল্যাহ (৬০) কে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি।  

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাডেমি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১০ জুন) রাতে বনানীপাড়া এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে রাব্বি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।  

জবানবন্দিতে রাব্বি বলেন, ৩০ মে ইফতারের আদা ঘণ্টা আগে বন্ধু রনি তাকে ফোন করে বলেন বাড়ির সামনে আসতে। তখন রনি ও তার ভাই সোহেল তাকে নিয়ে গাজীক্রস রোডের হক ম্যানশনের ভেতরে ঢুকেন। ঘরে ঢুকে বাইরের লাইটটি সোহেল বন্ধ করে দেন।  একজন বয়স্ক লোক ঘরের ভেতরে খাটের উপর শোয়া ছিল। সোহেল ঘরে ঢুকেই তাকে ধরে গামছা দিয়ে পা বেঁধে ফেলেন এবং রনি হাত বেঁধে ফেলেন। লোকটি চিৎকারের চেষ্টা করলে সোহেল চোখ, মুখ, নাক গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলেন। ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়ে লোকটি খাট থেকে নিচে পড়ে যান। এসময় সোহেল চায়ের চামচ দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। রনি দা দিয়ে আঘাত করেন।   

লোকটির নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেলে আলমিরা ভেঙে সোহেল এক লাখ টাকা, স্বর্ণ এবং একটি মোবাইল নিয়ে ইফতারের ১০-১৫ মিনিট আগে পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শফিকে লোকজন দেখে চোর চিৎকার শুরু করলে আমি সোহেল ও রনি ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করলে আমি আর রনি কৌশলে পালিয়ে যাই। ওইদিন রাত ১০টার দিকে রনি আমাকে ১০ হাজার টাকা দেন, বাকী টাকা পরে দেবেন বলে চলে যান।

ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান জানান, রাব্বি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। টাকার লোভে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সে ১০ হাজার টাকা ভাগে পেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, রাব্বি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে। ২ জুন ফারুক হোটেলের সামনে থেকে জাহিদুল ইসলাম হৃদয় ও সোহেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেন। সোহেলের ভাই রনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৩০ মে রাত ১০টার দিকে শহরের বারাহীপুর গাজীক্রস রোডের হক ম্যানশন থেকে শফির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯ 
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।