এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামসুন্নাহার নামে ওই হাসপাতালের এক আয়াকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন।
এর আগে, সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় সাভারের পলাশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেডে সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বামী আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, প্রসব ব্যথা শুরু হলে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে তানিয়াকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতি না নিয়েই সন্ধ্যায় তানিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যান। সিজার শেষে আধা ঘণ্টা পরে আমাদের কাছে কাগজ নিয়ে এসে স্বাক্ষর নেন এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান প্রসূতি মা ও নবজাতক দু’জনই প্রায় দুই ঘণ্টা আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় রাতেই আমরা সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তান তাদের হাসপাতালেই মারা গেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যখন অপারেশন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তখন তারা ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো কথা বলেছেন।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তানিয়া ও আজিজ আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার আব্দুস সাত্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
আরএ