তিনি বলেন, এশিয়া উপ মহাদেশের সর্ববৃহৎ লেক-কাপ্তাই লেক। যার পরিমাণ ৭২৫ বর্গকিলোমিটার।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে পাঁচ দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি মৎস্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির ২৮ জন কর্মচারী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
রাঙামাটি মৎস্য অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত কোর্সে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবর কুমার চাকমাসহ মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি। কেননা আমাদের প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও স্থানীয় জনমানুষের আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবং আপনারা সবাই সরকারের সেবক। তাই এদেশের সাধারণ মানুষকে মৎস্য সম্পদের যথাযথ বংশ বৃদ্ধি এবং মৎস্য চাষের সার্বিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায় সম্পর্কে জানানো আমাদের মূল দায়িত্ব।
তিনি বলেন, পাহাড়ি পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে এ পেশায় টিকে থাকার মতো ধৈর্য্যশীল অথচ বাস্তবতা সম্পন্ন কর্মপন্থা নির্ধারণই পারে একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে কাঙ্ক্ষিত সুন্দর জীবনযাপন কোনদিনই সম্ভব নয়।
তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন তাদের দায়িত্ব পালনে সরকারের বিধি বিধান মেনে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রগঠনে এগিয়ে আসবেন। তেমনিভাবে জনপ্রতিনিধিরাও তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবেন।
পাঁচ দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হবে ১৫ জুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
আরএ