সোমবার (১০ জুন) ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ২১টি লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চেই ছিলো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
ভোলা নদীবন্দর থেকে পাঁচটি লঞ্চ ছেড়েছে সন্ধ্যার আগেই। এছাড়া দৌলত খান, বোরহান উদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা থেকে বিকেলসহ বিভিন্ন সময়ে ছেড়ে গেছে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো। সর্বশেষ রাত ৮টার পর ভোলা সদরের তুলাতলী ঘাট থেকে ছেড়েছে টিপু-৬ নামে একটি লঞ্চ। সেখানেও ছিলো যাত্রীদের চাপ।
জানা গেছে, ঈদের আগেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে দ্বীপজেলা ভোলায় আসেন কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ। যারা চাকরি, ব্যবসা কিংবা পড়াশোনার তাগিদে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বসবাস করতেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে তারা এখন দ্রুতই কর্মস্থলে ছুটছেন। শত ভোগান্তির পরেও লঞ্চে উঠছেন তারা।
ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী উঠায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। ডেক ও কেবিন ছাড়াও যে যেভাবে পেড়েছে লঞ্চে উঠেছে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র সহজমাধ্যম নৌপথ হওয়ায় এ পথেই যেতে হয় মানুষদের। তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরও লঞ্চঘাটগুলোতে ছিলো যাত্রীদের ভিড়।
তবে ভাড়া নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও কেবিন সংকট নিয়ে ছিলো। স্থান সংকলন না থাকায় অনেককে কষ্ট করেই যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। ঘাটগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের টহল লক্ষ্য করা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য আমাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এসএ/