সোমবার (১০ জুন) দুপুরে নির্যাতিতা ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে বেলাবো থানায় দুই বখাটেকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিত শিক্ষার্থী উপজেলার নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- চর উজিলাব ইউনিয়নের চর আমলাব গ্রামের মজনু মিয়ার বখাটে ছেলে রাসেল (১৮) ও একই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে নুরুল ইসলাম (২০)।
নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন (শনিবার) রাত ১০টার দিকে ওই কলেজছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বাহিরে বের হন। ওই সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুই বখাটে রাসেল ও নুরুল মেয়েটির মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে বাড়ির পাশে একটি নিচু জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটের মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এসময় বখাটেরা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে ও কিল-ঘুষি মারলে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে বখাটেরা তাকে মৃত ভেবে ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে মেয়েটিকে না পেয়ে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১টার দিকে বাড়ির পাশের নিচু জমিতে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখতে পান। এসময় তাকে উদ্ধার করে বেলাবো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বেলাবো থানায় নারী ও শিশু নির্যাতিত দমন আইনে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ওই কলেজ শিক্ষার্থী। নির্যাতিতার মা ও এলাকাবাসী জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকরুদ্দীন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নির্যাতিত মেয়েটি দুই বখাটেকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদরে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
জিপি