সোমবার (১০ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে মাছ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ওই ব্যবসায়ীরা।
বিক্ষোভ চলাকালে মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, নিয়মনীতি মেনে পৌর কর্তৃপক্ষকে টাকা জমা দিলেও পুনর্বাসন না করে ঢালাওভাবে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে কুড়িগ্রাম পৌর কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম জিয়া বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত পৌরসভার মেয়র আমাদের মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পজিশন বরাদ্দের কাগজ দিয়ে তারপর ভবন ভাঙার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি টাকা নিয়েছেন সেডের পজিশনের কাগজ না দিয়েই ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছেন। দ্বিতীয়ত এখানকার ব্যবসায়ীদের আলাদা কোনো জায়গায় বসার ব্যবস্থা না করে দিয়েই ভবন ভাঙছেন। এতে করে ভবন ভেঙে ফেলে নতুন সেড তৈরি না করা পর্যন্ত আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। এজন্যই আমরা জিয়া বাজারে মাছ বিক্রি বন্ধে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাসুদুর রহমান মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন,ভবনটি যারা ব্যবসা করে তাদেরকে আপাতত মাছ বিক্রির কোনো ব্যবস্থা না করে ভবনটি ভাঙা ঠিক হবে না। বিষয়টি আমরা পৌর মেয়রকেও অবগত করেছি।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, জিয়া বাজারের ভবনটি মেয়ােদাত্তীর্ণ হওয়ায় তা ভেঙে নতুন সেড তৈরি করা হবে। মাছ ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আপাতত টিনের চালা করে তাদের সাময়িক বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সেড নির্মাণের পর বিধি মোতাবেক ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
এফইএস/এএটি