ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মালিক-শ্রমিক অসন্তোষে হচ্ছে না সড়ক ও পরিবহন আইন: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
মালিক-শ্রমিক অসন্তোষে হচ্ছে না সড়ক ও পরিবহন আইন: কাদের সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: সড়ক ও পরিবহন আইন মালিক-শ্রমিকের অসন্তোষের কারণেই করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদ বা আন্দোলন বাজে রকমের হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক অপমানিত হয়েছেন।

সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলন রাতারাতি বন্ধ করা যায় না।

এখাতের সঙ্গে আরো অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট রয়েছে। শ্রমিকরা ভিন্নমতের ছিলো না। তারা ঐক্যবদ্ধ ছিলো।  প্রাথমিকভাবে যুক্তিতর্ক দিয়ে সমাধান করতে দেরি হয়ে গেছে। এটা হয়েছে আমার দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে। এখন এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এআইনের সঙ্গে নতুন কোনোকিছু যোগ করা যায় কিনা।  

তিনি বলেন, পরিবহন খাতের কাছে সরকার জিম্মি হয়নি। পরিবহন খাতে জনস্বার্থ যাতে জিম্মি না হয়, সে বিষয় সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

কাদের বলেন, এবার সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি ছিল। এবার দুর্ঘটনা হয়েছে ৬৬টি, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মূলত ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আর এসব দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই মারা যায়। লং রুটে ড্রাইভিং ও রাস্তার পাশে যানবাহন রাখায় দুর্ঘটনাও দুর্ভোগ হয়।

তিনি বলেন, এবার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিলো। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে সন্তোষজনক অবস্থানে যেতে পারিনি।  বিআরটিএ এবার ২৫৫টি মামলা করেছে। এর বিপরীতে ৫ লাখ ২০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল রুটে যানজট হয়েছে। এর অন্যতম  কারণ  লং রুটের গাড়ি ও রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে হোটেলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা। এর বাইরে এবারের ঈদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সড়কে ইজিবাইক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইজিবাইক-সিএনজি বন্ধ করতে হলে আমাদের বিকল্প পথে যেতে হবে। কারণ যারা এসব যানবাহন চালান তারা গরিব মানুষ। আর যারা গাড়িতে চলাচল করে তারা বাধ্য হয়েই করেন। কারণ ঐসব স্থানে যানবাহনের সংকটের কারণে এসব যানবাহনেই চলাচল করতে হয়। আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে হাইওয়েতে ইজিবাইক-সিএনজি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সবকিছু বিবেচনা করেই ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার সংকট রয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালক ও বেপরোয়া যাত্রীর জন্য বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এজন্য মিটিং ডাকছি স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে কোনো পরিকল্পনা কাজে আসবে না। এজন্য শুধু পরিকাঠামো পরিবর্তন করলে হবে না। জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো।

রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে উবার, পাঠাও-এর মতো ২০ থেকে ২২টি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং রয়েছে। রাইড শেয়ারিংয়ের কারণে পরিবহন খাতে অনেকটা সংকট নিরসন হয়েছে। অটোরিকশায় ভাড়া বেশি নেওয়ার বা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। রাইড শেয়ারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। কোনো ধরনের জালিয়াতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে রাইড শেয়ারিংয়ের নীতিমালা করা হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।