ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৫ পুলিশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
৫ পুলিশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা জেলা জজ আদালত

মেহেরপুর: চাঁদা দাবির অভিযোগে মেহেরপুরের গাংনী থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই), দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার করমদী গ্রামের আব্দুল হান্নান নামে এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী।

চাঁদা দাবি করেও না পাওয়ায় গাঁজা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে আদালতে চালান দেওয়ার অভিযোগে রোববার (৯ জুন) দুপুরে মেহেরপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান।  

মামলার আসামিরা হলেন- তৎকালীন বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন, এএসআই এনামুল হক, এএসআই মুস্তাক আহম্মেদ, কনস্টেবল গোপাল চন্দ্র, পান্না শিকদার এবং করমদী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মাগরিব আলী, আনারুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম কসাইয়ের ছেলে শাহারুল ইসলাম, জামিরুল ইসলামের ছেলে টিপু, আইয়েল হোসেনের ছেলে আবেদ আলী, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন, ও ছৈয়মদ্দীনের ছেলে আনারুল ইসলাম মেকার।

মামলার বাদী আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বামন্দী ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন, এএসআই মুস্তাক, এএসআই এনামুলসহ পুলিশের একটি দল গত ২০/১১/১৮ ইং তারিখে করমদী গ্রামে আসে। তখন আমি একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। তারা আমাকে সেখান থেকে তুলে এনে একটি গোপন স্থানে দাঁড়িয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান ও চার কেজি গাঁজার মামলা দিয়ে আমাকে চালান দেয়। সে মামলায় আমি ৪ মাস ৮ দিন পর আদালত থেকে জামিন নিয়েছি।  

তিনি আরো বলেন, মামলার অন্যান্য আসামি বিশেষ করে শরিফুল ইসলাম শাহারুল ইসলাম, টিপু, আবেদ ও আনারুল ইসলাম- এরা সবাই এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি ও প্রশাসনের দালাল। তারা আমাকে ষড়যন্ত্র করে মাদক মামলায় ক্রসফায়ার দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা করেছি। মামলা নং সিআর ২০৭/১৯। ধারা, ৩৮৫,৮৬,৮৭, ৩৪,১৬১, ৫০৬, ১১৪।  

মেহেরপুর আদালতের বিচারক শাহিন রেজা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন।

গত বছরের  ২০ নভেম্বর ভোরে গাংনীর করমদী খুশির বিল কবরস্থানের পাশ থেকে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান ও চার কেজি গাঁজাসহ আব্দুল হান্নানকে আটক দেখায় পুলিশ। পরের দিন সকালে হান্নানের মা সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
আরএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।