যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকার দিকে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া দুই-একটা পরিবহন থাকলেও তারা ভাড়া নিচ্ছেন গলাকাটা।
রোববার বিকেলে ঢাকামুখী সাভারের তিনটি মহাসড়কের নবীনগর মোড়, বাইপাইল মোড় ও আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঈদ উদযাপন করে আসা মানুষ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দেখা গেছে কেউ বাস না পেয়ে ছাদবিহীন ছোট পিকআপ ভ্যানে চড়ে যাচ্ছেন আবার কেউ ছোট ভ্যানে করে যেটুকু যাওয়া সম্ভব যাচ্ছেন।
কল্যাণপুর যাবেন রফিক। ঈদের চারদিন আগে রাজশাহীর নিজ বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে বাড়ি যাওয়ায় সড়কে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি তাকে। তবে ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে পরিবার নিয়ে সড়কে প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে ভেঙে নবীনগর পর্যন্ত আসছি। গাড়ি নেই, যদিও দুই-একটা গাড়ি আছে তাও রিজার্ভ বলে চলে যায়। আবার গাড়ি পেলেও গলাকাটা ভাড়া চেয়ে বসে থাকে। রাত হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না কি করবো।
রাজবাড়ী থেকে আসা অপর যাত্রী আয়েশা যাবেন উত্তরা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাইপাইল এসে ভোগান্তি মনে হয় বেড়ে গেলো। বাইপাইল থেকে আশুলিয়ার লেগুনাতে ২০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে ১৮০ টাকা।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের ভাষ্যমতে ঈদের কয়েকদিনই তাদের টাকা রোজগার করার সময়। আর ঈদের সময় যাত্রীর অনেক চাপ সে তুলনায় গাড়ি নেই তাই যাত্রীরা যেকোনো ভাড়ায় যাবেই।
এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তাহমিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
আরএ