ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের ঘোরাঘুরি শেষ হয়নি রাজধানীবাসীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
ঈদের ঘোরাঘুরি শেষ হয়নি রাজধানীবাসীর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদে রাজধানীবাসীর বেশিরভাগ লোকই তাদের স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান কর্মস্থল ঢাকা। আর যারা থেকে যায় ঢাকায় তাদের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকে ঢাকার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তবে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরও কমেনি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়। কর্মচঞ্চল দিনেও অনেকে অর্ধেক বেলা অফিস করে আসছেন পরিবার-পরিজনদের নিয়ে।

রোববার (০৯ জুন) ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসেও এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিড়িয়াখানায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসেছেন অসংখ্য মানুষ।

যারা শুধু ঢাকাবাসী নয়। এসেছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সাভার, গাজীপুর এমনকি মানিকগঞ্জ থেকে।

বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ঈদের সময় ঘোরাঘুরি আনন্দের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু চিড়িয়াখানায় এসে ভোগান্তিতেই পড়তে হয়েছে তাদের বৃষ্টির কারণে। তাছাড়া চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সম্পর্কে তাদের অভিযোগ, প্রাণীগুলো না খেতে পেয়ে শুকিয়ে গেছে বা ঝিমাচ্ছে। যা শিশুরা দেখে অজস্র প্রশ্নে জর্জরিত করছে তাদের অভিভাবকদের। বৃষ্টির মধ্যে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়।  ছবি: জিএম মুজিবুরমানিকগঞ্জ থেকে রফিক উদ্দিন এসেছেন তার দুই সন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ঈদে বৃষ্টির কারণে তেমন কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। সন্তানরাও ঘুরতে যেতে চাইছিলো। তাই ওদেরকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এলাম। কিন্তু আজ এসেও বৃষ্টির কবলে পড়তে হয়েছে। কোনো মতে একটা শেডের নিচে দাঁড়িয়ে সন্তানদের ভেজার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই ভিজেছে। চিড়িয়াখানার ভেতরে তেমন কোনো শেড নেই যেখানে বৃষ্টিতে দাঁড়ানো যাবে।

রামপুরা থেকে রিনা-রুমন দম্পতি তাদের রাইয়ান নামে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে এসেছেন চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন পশু-পাখি চেনাতে। বাংলানিউজকে তারা বলেন, এতোদিন রাইয়ানকে বইতে পশু-পাখি চিনিয়েছি। বাস্তবে দেখানোর জন্য এনে একপ্রকার বিপদেই পড়েছি ওর অজস্র প্রশ্নের কারণে। কেননা বাঘের খাঁচায় গিয়ে দেখি না খেয়ে খেয়ে বাঘগুলো শুকিয়ে ছোট হয়ে গেছে। আর ওকে বলেছিলাম বাঘ অনেক তেজি একটা প্রাণী। কিন্তু এখানে বাঘ ঝিমাচ্ছে। এটা দেখে ও বললো বইয়ের বাঘই বেশি ভালো। এছাড়া একই অবস্থা অন্যান্য প্রাণীর।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার কোনো কর্মকর্তাকে না পাওয়া গেলেও দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবার প্রাণীদের ঠিকমতো দেওয়া হয়। কিন্তু খায় না। কয়েকটা প্রাণী তার মধ্যে বাঘ অসুস্থ। চিকিৎসক আসবে। সুস্থ হলেই এমনটা থাকবে না। বৃষ্টির মধ্যে চিড়িয়াখানায় এসে বিপাকে দর্শনার্থীরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরএদিকে সাভার থেকে কলেজপড়ুয়া বন্ধুরা ঘুরতে এসেছেন চিড়িখানায়। দুপুরের বৃষ্টিতে একেবারে কাকভেজা ভিজেছেন তারা।

তারা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন থেকে পরিকল্পনা করছি কোথাও ঘুরতে যাবো সবাই মিলে। আবার বেশি দূরে গেলে বাসা থেকে বকবে। তাই চিড়িয়াখানাকেই বেছে নিয়েছিলাম। আর এখানেও আসা হয়নি এর আগে। আর আজ এসে পুরো ভিজে বাসায় ফিরতে হচ্ছে। দুপুরের বৃষ্টিতে একটা ছাদের নিচে দাঁড়ানোর জায়গা পায়নি। সবখানেই মানুষের ভিড়। পরে অবশ্য ভিজেই আনন্দ উপভোগ করেছি। এটাও আনন্দের অন্যরকম মাত্রা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
এমএমএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।