তবে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর অস্থায়ীভাবে নির্মিত ওই যাত্রী ছাউনিতে আবারও অল্প সংখ্যক চেয়ার দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (০৯ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (৮ জুন) রাতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদী বন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত যাত্রী ছাউনিতে পুনরায় চেয়ার দেওয়া হয়েছে।
ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ৫০০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যাত্রী ছাউনিতে পর্যাপ্ত চেয়ার থাকলেও ঈদেরর পর থেকে তা আর দেখা যায়নি। এনিয়ে গত দু’দিনে সমস্যা দেখা না দিলেও শনিবার বিকেল থেকে সমস্যা পড়তে হয় ঢাকামুখী যাত্রীদের। এইদিন অনেক যাত্রীই তার স্বজনদের পল্টুন, টার্মিনাল ভবন এমনকি টার্মিনাল এলাকার বাইরেও খোলা জায়গায় স্বজনদের দাঁড় করিয়ে রেখে লঞ্চে জায়গা ঠিক করার জন্য গেছেন। কারণ যাত্রী ছাউনিতে তখন মোটরসাইকেল আর কুকুরের আবাসস্থল হয়েছে।
চেয়ার পুনরায় দেওয়ার বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে বরিশালে রোববারও গতকালের মতো সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন রয়েছে, সঙ্গে থেমে থেমে কয়েকবার বৃষ্টিও হয়েছে। এরমধ্যেই মানুষ বিভিন্ন বাহনে চড়ে ঢাকার অভিমুখে ছুটছে।
ঈদের পরে শনিবারের মতো রোববারও সকাল থেকেই যাত্রীদের আনোগোনা শুরু হয়েছে বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও নদী বন্দর এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপও বেড়েছে। তবে প্রথা অনুযায়ী বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল থেকে নৌরুটে সব থেকে বেশি যাত্রী চলাচল করায় নদী বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়ার জন্য আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বরিশাল নদী বন্দর ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিআইডব্লিউটিএ গত ৩০ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ সেবা পক্ষ চালু করছে। ফলে যাত্রীরা নদী বন্দর ও লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিভিন্ন স্তরে যাত্রীদের বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
এমএস/এএটি