ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেবা পক্ষ চলাকালীন যাত্রীছাউনির চেয়ার উধাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৯
সেবা পক্ষ চলাকালীন যাত্রীছাউনির চেয়ার উধাও

বরিশাল: সেবা পক্ষ চলাকালীন বরিশাল নদীবন্দরের টার্মিনাল ভবনের সামনে যাত্রীছাউনিতে থাকা বসার চেয়ার উধাও হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের। 

অস্থায়ীভাবে নির্মিত ৫শ’ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যাত্রীছাউনিতে পর্যাপ্ত চেয়ার থাকলেও ঈদুল ফিতরের পর থেকে তা আর দেখা যায়নি। তবে এ নিয়ে গত দু’দিনে সমস্যা দেখা না দিলেও শনিবার (৮ জুন) বিকেল থেকে সমস্যা পড়তে হয় ঢাকামুখী যাত্রীদের।

 

অনেক যাত্রীই তার স্বজনদের পন্টুন, টার্মিনাল ভবন এমনকি টার্মিনাল এলাকার বাইরে খোলা জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে লঞ্চে জায়গা ঠিক করার জন্য গেছেন। কারণ যাত্রীছাউনিতে এখন মোটরসাইকেল আর কুকুরের আবাসস্থল হয়েছে।

ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রী জিয়াউল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে ফেরার সময় বন্দর ভবনের বাইরে ছাত্রীছাউনিতে চেয়ার ছিল। ফলে মধ্যরাতে এসেও বসার সুযোগ পেয়ে ভোর পর্যন্ত নিরাপদে অপেক্ষা করতে পেরেছি। আর যাওয়ার সময় এখন সেখানে চেয়ার না পেয়ে স্বজনদের দাঁড় করিয়ে রেখেছি। লঞ্চে জায়গা পাবো তারপর তাদের সেখানে নিতে পারবো। অযথা পন্টুনে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির মধ্যে ফেলতে চাই না।

অপর এক যাত্রী নুরুল আমিন বলেন, আকাশ মেঘলা, দুপুরের পর গুড়িগুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। যদি মুষলধারে বৃষ্টি নামে তবে বেশিরভাগ যাত্রীদের যাত্রীছাউনিতেই যেতে হবে।  তখন দাঁড়িয়ে থেকে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।  

এ বিষয়ে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, যাত্রীদের যেভাবে চাপ বাড়ছে তাতে পন্টুনে পা ফেলার জায়গা থাকবে না। আর বৃষ্টি হলে বসার জায়গা না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ থাকবে না। তাই বিষয়টি অনুধাবন করার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট (প্রকৌশল) বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাকরি।  

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ বলেন, বিগত দিনের ধারা অব্যাহত রেখে ঈদের আগে থেকে বন্দর ভবনের বাইরে যানবাহনের পার্কিং স্থানে অস্থায়ী যাত্রীছাউনি বানানো হয়েছে। যেখানে ঈদের সাতদিন আগে থেকেই চেয়ার দেওয়া হয়েছিল। যাতে যাত্রীরা মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমে নিরাপদে বসতে পারেন। আর এখন যাত্রীরা সরাসরি লঞ্চে গিয়ে উঠছেন, তাই সেখানে চেয়ার দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বরিশালে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, সঙ্গে থেমে থেমে কয়েকবার বৃষ্টিপাতও হয়েছে। এরমধ্যেই মানুষ বিভিন্ন বাহনে চড়ে রাজধানী অভিমুখে ছুটছেন।  

শনিবার সকাল থেকেই যাত্রীদের আনোগোনা শুরু হয়ে যায় বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও নদীবন্দর এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপও বেড়ে যায়। তবে প্রথা অনুযায়ী, বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল থেকে নৌ-রুটে সব থেকে বেশি যাত্রী চলাচল করায় নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়ার জন্য আগাম সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বরিশাল নদীবন্দর ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  

এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ গত ৩০ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ সেবা পক্ষ চালু করেছে। যার দরুন নদীবন্দর ও লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিভিন্ন স্তরে যাত্রীদের নানান সেবা দেওয়া হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad