শনিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওয়াহেদ।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় কুষ্টিয়া-নাটোর মহাসড়কের জয়নগর বিশ্বরোডে তামান্না ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওয়াহেদের সহধর্মিণী মুনিয়া খাতুন।
নিহত ওয়াহেদ আলী ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নারমোড় এলাকার ধান-চাতাল মিল ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম সরদারের ছোট ছেলে।
জানা যায়, ওয়াহেদের চার ভাই এর মধ্যে তিন ভাই চট্টগ্রামে আবুল খায়ের গ্রুপ স্টিল মিলে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলেন ওয়াহেদ। ঈদ শেষে শনিবার কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওয়াহেদের স্ত্রী মুনিয়া। ছয় মাসের শিশু সন্তান নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওয়াহেদ। শনিবার সকালে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
শনিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা মৃত্যু তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় নিজ গ্রামে মরদেহ এসে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার অবতারণা হয়।
নিহত ওয়াহেদ আলীর বড় ভাই ওয়াজেদ সরদার আবেগ আপ্লুত হয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ৪ ভাই তিন বোন। চার ভাইয়ের মধ্যে, তিন ভাই- ওয়াসিম সরদার, ওয়াহেদ সরদার এবং আমি চিটাগাং আবুল খায়ের গ্রুপের স্টিল মিলে চালক হিসেবে কর্মরত। বড় ভাই জসিম সরদার বাড়িতেই থাকেন। ঈদ করতে তিন ভাই এসে এক ভাইকে ছাড়া আমরা কিভাবে কর্মস্হলে যাবো।
নিহত গৃহবধূ মুনিয়ার ছোট বোন পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কৃষক মজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে সোনিয়া বলেন, মা-বাবা হারা শিশু আহাদ এখন কি করে থাকবে।
সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বাংলানিউজকে জানান, গতকাল রাতে গৃহবধূ মুনিয়ার মরদেহ দাফন হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ওয়াহেদ এর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
আরএ