ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিনোদনপ্রেমীদের স্রোত রূপসা সেতুতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৯
বিনোদনপ্রেমীদের স্রোত রূপসা সেতুতে রূপসা সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়

খুলনা: আকাশে কখনও কালো মেঘ, কখনও আবার সূর্যের উঁকি। প্রকৃতির এ খামখেয়ালীকে সঙ্গী করে শুক্রবার (০৭ জুন) বিকেল না হতেই মানুষ ছুটে এসেছেন খুলনার খানজাহান আলী (র.) সেতুতে (রূপসা সেতু)। সন্ধ্যায় যা জনস্রোতে রূপ নিয়েছে।

তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষের মিলন মেলার কেন্দ্র পরিণত হয়েছে রূপসা সেতু এলাকা। কেউবা তুলছেন সেলফি, কেউবা নিজ ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন স্মৃতির পাতায়।

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে রূপসা সেতু। ঈদের তৃতীয় দিন বৃষ্টি না থাকায় এখানে বেশি মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

যানজট ও কোলাহলহীন ঘুরে বাড়ানোর মাঝে অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন নির্মল আনন্দ। সেতুর দুই পাড়ে বসে শিশুরা যেমন কাটাচ্ছে আনন্দময় সময়, বড়রাও অবসর সময়টা উপভোগ করছেন হাসি আর আড্ডায়।

নগরীর শিববাড়ি এলাকা থেকে সেতুতে ঘুরতে আসা মোজাম্মেল হোসেন পাপ্পু ও শেখ আরিফুজ্জামান বলেন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে রূপসা সেতু ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। প্রতি ঈদেই এখানে আসি। যার ধারাবাহিকতায় এবারও এসেছি।

তারা জানান, সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নির্মল বাতাস ও নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো এ রকম জায়গা খুলনায় আর নেই।

রূপসা সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়দারোগা পাড়া থেকে ঘুরতে আসা নুসরাত জাহান জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন। ছুটিতে যখনই খুলনায় আসেন তখনই রূপসা সেতুতে ঘুরতে আসেন। আড্ডা দেন প্রিয়জনদের নিয়ে।

সেতু সংলগ্ন লবণচরা টেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষক আহসান পারভেজ তুরান বাংলানিউজকে বলেন, সেতুর উপরে ও নিচে ভ্রমণ পিয়াসীদের উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর এমনকি বৃদ্ধরাও একটু মুক্ত পরিবেশে বেড়াতে এসেছেন এখানে। সেতু এলাকার লোকজন অতিথিদের আনন্দ দেওয়ার জন্য রূপসা নদীতে সাজিয়ে রেখেছে ডিঙ্গি নৌকা, শ্যালোচালিত ট্রলারের পসরা সাজিয়ে বসেছে অনেকে।

তিনি জানান, সারা বছর মানুষের আনাগোনা থাকলেও ঈদের ছুটিতে এখানে জনস্রোত নামে। ঈদের ছুটিতে ব্যস্ত নগরীর স্বস্তির জায়গা হিসেবে পরিচিত এ সেতুতে সন্ধ্যা হতে না হতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।

রূপসা সেতুতে টোল আদায়কারী সিস্টেম প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ রনি বাংলানিউজকে বলেন, সেতু এলাকায় আগতদের যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এবং সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রায় অর্ধশত নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি জানান, খুলনাবাসীর কাছে যেকোনো উপলক্ষে প্রথম পছন্দের জায়গা এই রূপসা সেতু। সেতুতে আগত বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।