শুক্রবার (৭ জুন) সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার স্বামী আল আমীন, শাশুড়ি আঙ্গুরী বেগম ও দুই ভাসুর শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছে।
নিহত গৃহবধূর চাচা শামীম রেজা ফরহাদ বাংলানিউজকে জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরহাটবাড়ী গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে আল আমীনের সঙ্গে আট মাস আগে বিয়ে হয় ভাতিজি শিখার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানাজানি হয় যে শিখাকে হত্যা করে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের খাটে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় শিখার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের দরজাও খোলা ছিল। রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় খবর দেওয়া হয়।
শামীম রেজা ফরহাদ অভিযোগ করে বলেন, শিখার স্বামী চরহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি। হয়তো পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয় তা আমাদের জানা নেই।
খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এসআই জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় দড়ি বা চিকন তার জাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করা হতে পারে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
আরএ