শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২টি ট্রেন এসেছে কমলাপুরে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, গতবার থেকে নতুন একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে। ঈদের দিন ও ঈদের পরের দু’দিনও প্রচুর মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। এই সময় প্রচুর টিকিটও বিক্রি হচ্ছে।
কমলাপুরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এবছর ঈদের দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৮ কাউন্টারে ২৪ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবার ৬৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় এখনও প্রচুর মানুষ ঢাকা ছাড়ছে।
এটা শুধু সরকারি কাউন্টারের হিসাব। এর বাইরে বেসরকারি পর্যায়ে কিছু কমিউটার ট্রেন রয়েছে বলেও জানান সীতাংশু।
তিনি বলেন, আগে ঈদের পরে মানুষ কম যেত। এখন ঢাকা থেকেও প্রচুর মানুষ যাচ্ছে, আবার ঢাকায় ফিরছে। দু’দিক থেকেই মানুষ আসা-যাওয়া করছে। ১০টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সবগুলো সঠিক সময়ে গেছে। সারাদিনে ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর ছাড়বে।
প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, এক থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে কোনো যাত্রীর ভিড় নেই। ১৫/২০ মিনিট পর একটি ট্রেন আসছে। স্বাভাবিকভাবে যাত্রীরা নেমে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার নির্দিষ্ট সময় পর ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। নেই কোনো ঠেলাঠেলি, চাপাচাপি।
সকাল ৯.১৫ মিনিটে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় লালমনি এক্সপ্রেস, ১০টায় একতা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশে। এরপর ইশাখা এক্সপ্রেস যায় ময়মনসিংহের উদ্দেশে ১১.৩০ মিনিটে। জয়ন্তিকা যায় সিলেটের উদ্দেশে দুপুর ১২টায়।
এছাড়া ১২টা ২০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাবে রাজশাহী এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে দুপুর ১টায়, বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে যাবে ১টা ১৫ মিনিটে, মোহনগঞ্জের পথ ধরবে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ২টা ২০ মিনিটে। সিল্কসিটি রাজশাহী যাবে ২টা ৪০ মিনিটে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাবে বিকেল ৩টায়। উপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালীর পথ ধরবে ৩টা ২০ মিনিটে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
এমএইচ/এএ