বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এর আগে বুধবার (০৫ জুন) রাত আড়াইটার দিকে বোমাটি উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাশকতা করার জন্য বুধবার গভীর রাতে ‘বি’ ব্লকে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে দু’টি পেট্রোলবোমা ছোড়া হয়। এসময় একটি বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি হয়নি। তবে বিস্ফোরিত পেট্রোলবোমাটি ততোটা শক্তিশালী ছিল না। এর আগেও গত সোমবার (০৩ জুন) রাতে একই স্থানে দুই বার কাগজে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম বার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। পরের বার শাহবাগ থানা পুলিশ গিয়ে নেভায়। এছাড়া পেট্রোলবোমাটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাতে আনসার কমান্ডার আমাকে মোবাইলে পেট্রোলবোমা পড়ে থাকার সংবাদ জানান। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে এটি উদ্ধার করে। এর আগে সোমবার রাতে পরপর দুইবার কাগজে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম বার আনসার সদস্যরা নেভান। পরের বার শাহবাগ থানা পুলিশ এসে আগুন নেভান।
এছাড়া বুধবার রাতে যে পেট্রোলবোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সেটি দুর্বল ছিল এবং তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
এদিকে, এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। এমনকি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এমএএম/টিএ