ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৯
বরিশালের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

বরিশাল: ঈদের দিনে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়ানো, খোঁজ-খবর নেওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় আড্ডা দিয়ে সময় কাটালেও পরের দিন বিনোদনকেন্দ্র মুখি হয়েছেন নগরবাসী।

তবে অভিভাবকরা ঈদের দিন বিকেলেই নিজেদের শিশু সন্তানদের নিয়ে শিশুপার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাই সদ্য চালু হওয়া বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জের শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক, নগরের বান্দরোড সংলগ্ন গ্রিন সিটি শিশুপার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড ঈদের দিন থেকেই ছিল শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর।

এদিকে, ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের পর থেকেই শিশুপার্কসহ বরিশালের সব বিনোদনকেন্দ্রই নগরবাসীর পদচারণায় ছিল মুখর। যারমধ্যে বেশিরভাগ বিনোদনকেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা লোকজনের সংখ্যাটাই ছিল বেশি। বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও প্রেক্ষাগৃহ, খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেছে অনেককেই।

নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। যারমধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ৩০ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, কালিজিরা ব্রিজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রিজ, চৌমাথা লেকসহ কীর্তনখোলা নদী ও নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। আর নগরের বাইরে বাবুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাসাগর, উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ, দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্মতাত্মিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদন মুখি মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আর এসব বিনোদন স্পটের বেশিরভাগই টিকিট কাটা, লাইনে দাঁড়ানোর কোনো ঝক্কি-ঝামেলা নেই। ৯ বছরের শিশু সাদিয়াকে নিয়ে শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্কে আসা মাইনুল হোসেন বলেন, নগরের উত্তর প্রান্তে কোনো শিশুপার্ক ছিল না, যা ছিল দক্ষিণ প্রান্তে। এবার বাড়ির পাশে নতুন এ শিশুপার্কের যাত্রা শুরু হওয়ায় ভালোই হয়েছে। মেয়ের বায়নার কাছে হার মেনেই এখানে এসেছেন। প্রচুর শিশু ঢুকছে পার্কটিতে। টিকিট সিস্টেম না থাকায় ধনী-গরীবের ব্যবধানও নেই, যেটা অনেক ভালো হয়েছে।

এদিকে, কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কসহ বিভিন্ন স্পটে গিয়ে দেখা যায়, সব জায়গাতেই নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিনোদনকেন্দ্রগুলোকে ঘিরে। পরিবার-পরিজন ছাড়াও বন্ধু ও প্রিয়জনকে নিয়েও এসব জায়গাতে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন।  

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মিজানুর রহমান। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বরিশালে এসেছেন তার বড় ভাইয়ের পরিবার। তাদের নিয়েই ৩০ গোডাউন এলাকায় প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখাতে এবং ঘুরতে এসেছেন। সেখান থেকেই নৌকায় চরে কীর্তনখোলা নদীতে ঘুরে বেড়ানো শেষে বাংলানিউজকে বলেন, উৎসবে শামিল হতেই ঘুরতে বের হওয়া। আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য মানেই বরিশাল। নদীতে অথৈই পানি, সবুজের সমারোহ মনকে পুলকিত করে।

অপরদিকে, ঈদে নগরজুড়ে বিভিন্ন ফুড কোর্ট ও রেস্টুরেন্টেও ভিড় বেড়েছে। বেড়েছে নগরের একমাত্র সিনেমা হল অভিরুচিসহ বিভিন্ন উপজেলার সিনেমা হলগুলোতে দর্শকদের পদচারণা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।