বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ সড়ক অবরোধ চলে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে দুপুরে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বয়েজ বাংলা স্কুলের সামনের সড়কে পরীস্থান ও খাজাবাবা পরিবহনের দু’টি বেপরোয়া বাস পাল্লাপাল্লি করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। গাড়ি দু’টির দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি প্যাডেলচালিত রিকশাও। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
অবরোধ চলাকালে পল্লবী থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর থেকে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে এলাকাবাসী। ভয়ে লোকজন যানবাহন নিয়ে রাস্তায় আসছে না। তবে দুর্ঘটনার পর পরীস্থান পরিবহনের বাসের চালক মো. ইব্রাহিম (৩৫) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা তখন বাস দু’টিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আটক করে পরীস্থান বাসের চালক ইব্রাহিমকে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী চা বিক্রেতা সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, বাস দু’টি সড়কে পাল্লাপাল্লি করে চলছিল, একটি আরেকটিকে ওভারটেক করতে গেলে এর চাপায় পড়ে যায় একটি সিএনজি ও একটি রিকশা। তখন চারটি বাহন সংঘর্ষে জড়ায়।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পরীস্থান বাসের চালক ইব্রাহিম খাজাবাবার বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটক করেছে। জনতার হাত থেকে রক্ষা করে পুলিশ চালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তবে খাজাবাবা বাসের চালক পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯/আপডেট ১৬১১ ঘণ্টা
এমএমআই/এইচএ/
** পাল্লাপাল্লি করতে গিয়ে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৫