এ চিত্র উপকূলের মানতাপল্লীর। ভোলা সদরের মেঘনা কোলঘেষা ইউনিয়ন ধনিয়ার স্লইস গেইট এলাকায় নৌকাভাসি মানতাদের যেন বিবর্ণ ঈদ।
সন্তানদের নতুন জামা-কাপড় কিনে দেওয়া তো দূরের কথা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি সুবিধাবঞ্চিত এসব পরিবারগুলো। তাদের অভিযোগ, ঈদবস্ত্র ও চাল বিতরণ হলেও তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি কেউ। কারো ভাগ্যে জোটেনি কোনো সুযোগ সুবিধা। এতে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ তাদের।
ভাসমান মানতাপল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, নৌকায় বসেই কেউ জাল গোছাচ্ছেন, কেউ বা রান্নার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ বা মাছ শিকারে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা নদীর পাড়েই ধুলোময় পরিবেশে খেলাধুলা করছে। নারীরা ব্যস্ত খাবার তৈরি করতে।
ছবি তুলতে গেলে মরুনজান নামের মানতা নারী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ছবি তুলে কোনো লাভ নেই, কেউ আমাদের সাহায্য দেয় না। নদীতে মাছ পেলে দু’মুঠো খাবার জোটে নয়তো না খেয়ে থাকতে হয়।
রানু বিবি বলেন, ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তবে একটু মাংস খাবারের ব্যবস্থা করছি। আমরা ভোটার কিন্তু কোনো সাহায্য জোটেনি।
কহিনূর বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে নদীতে বাস করছি। ঈদ এলেও যেন ঈদের কোনো আনন্দ নেই।
ভাসমান মানতা পল্লীর আবুল বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, ৬ ছেলে-মেয়ে নিয়ে নৌকায় থাকি। কিন্তু ঈদে কাউকে নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি। আমাদের নিয়ে লিখলেও কোনো লাভ হয় না। বরাদ্দ আসে কিন্তু সেই বরাদ্দ চলে যায় অন্যদের কাছে।
এ বিষয়ে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির বাংলানিউজকে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম থাকায় সবাইকে সাহায্য দেওয়া সম্ভব হয় না। তবুও আমরা মানতা ও জেলেসহ অনেককেই সাহায্য-সহযোগিতা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এনটি