আবার বৃদ্ধ বয়সেও এই বাবার হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে যায় সন্তান। প্রকৃতির কী অদ্ভুত নিয়ম।
ঈদের দিন বাবার সঙ্গে জোর করে বায়না ধরে পাঞ্জাবি-টুপি ও আতর মেখে ঈদগাহে যাওয়াটাই যেন ঈদের দিনের সূচনা হয় ছেলে শিশুদের। ঈদের জামাতে নামাজ আদায়ের ঈদগাহে এমন দৃশ্য চোখে পড়লে প্রায় সবার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে উঠে।
বুধবার (৫ জুন) নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে বাবার হাত ধরে ছোট্ট শিশু আরহান এসেছিলেন ঈদের নামাজ আদায় করতে।
বাবার হাতটি ধরে সে ঈদগাহে যেমন প্রবেশ করেছিল সেভাবেই বাবার হাতটি ধরেই ঈদগাহ থেকে হাসিমুখে খুশি মনে বের হয়ে যায়। যেতে যেতে নানা প্রশ্নও জুড়ে দেয়, বাবা এটা কেন করতে হয়?
ঈদগাহে আসা আরহানের বাবা সবুজ বলেন, ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি ঈদগাহে। সকাল থেকেই সে বায়না ধরেছে ঈদগাহে যাবে আমার সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। পরে আমার হাত ধরে ঈদগাহে এসে আমার সঙ্গে নামাজ আদায় করলো। এবার ও স্কুলে ভর্তি হয়েছে মাত্র।
শহরের কলেজরোড এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, যখন ছোট ছিলাম তখন বাবার হাতটি ধরে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসতাম। তখনকার দিনগুলো আমার ছিলো অনেক আনন্দের। এখন বাবার বয়স হয়েছে বাবাকে হাতে ধরে নিয়ে এসেছি ঈদের নামাজ আদায় করতে। আমারও ছোট্ট সন্তান হয়েছে ৬ মাস বয়স। আগামী ঈদে হয়তো সেও আমার হাত ধরে আমাদের সঙ্গে নামাজ পড়বে আসবে। এটি অন্য ধরনের এক সময় আনন্দ। এই আনন্দ কখনও ভাষায় প্রকাশ করে বুঝানো যাবে না। ছেলে থাকাটাও আনন্দের বাবা হওয়াটাও আনন্দের।
পৃথিবীর সব বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও দোয়া রইলো যোগ করেন হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এএটি