বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকা, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, পল্টন, শান্তিনগর, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা। আর এতেই ‘জল’ হয়ে যাচ্ছে রাজধানীবাসীর ঈদ।
আবহাওয়া অধিদফতর আগেই জানিয়েছিল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। কিন্তু এই ঈদের দিনে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা যেন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ঢাকাবাসীর। তাছাড়া সাধারণত ঈদে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকার রাস্তায় মানুষদের সকাল থেকেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সে দৃশ্যের বদলে খালি রাস্তাতেও জলাবদ্ধতার কারণে কিছুটা যানজট লক্ষ্য করা গেছে সংসদ ভবনের পাশে মণিপুরি পাড়া এলাকা ও ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার যেতে। এছাড়া মতিঝিল ও পল্টন এলাকাতেও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি দেখা গেছে।
বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে চেপে ছুটছেন রাজধানীর বিভিন্ন দিকে। মিরপুর থেকে সদরঘাটগামী বাসের যাত্রী রফিক উদ্দিন যাচ্ছেন তার পরিবার নিয়ে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজ ঈদের দিন বাড়ি যাবো তাই সদরঘাট যাচ্ছি। গতকাল পর্যন্ত অফিসে ডিউটি ছিল। কিন্তু কল্পনা করিনি আজও রাজধানীতে যানজটে পড়তে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় পানি থাকলে বোঝা যায় না রাস্তার গর্তটা ঠিক কোথায়।
কারওয়ান বাজার এলাকায় সিরাজ নামে বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, বিশেষ এক প্রয়োজনে রাস্তায় বের হতে বাধ্য হয়েছি। এখন দেখছি ঈদের দিন ঘরে বসে থাকলেই বেশি ভালো হতো। বের হওয়াটাই ভুল হয়েছে। এই দিনে এমন ভোগান্তি আসলে কষ্টকর।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার অধিবাসী এহসানুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকালে আমরা নামাজের জন্য বের হয়ে জাতীয় ঈদগাহে যেতে পারিনি। ব্যাপক জলাবদ্ধতা ছিল। পরে আমরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়েছি। পরিবেশটা দেখে আসুন, মন খারাপ হয়েছে। ঈদের দিন এরকম মন খারাপ করতে চাই না। কিন্তু মন খারাপ করতে বাধ্য হই। ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারকে আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় ৩৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ৫০ মিলিমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯/আপডেট ১২৩০ ঘণ্টা
এমআইএস/এমএএম/এএ