বুধবার (০৫ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ঈদগাহটিতে ঈদ নামাজের মোনাজাত শেষ হয়। যদিও সকাল ১০টায় এখানে ঈদ জামাত শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রবল বর্ষণের কারণে সেটা সময় মতো সম্ভব হয়নি।
রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনটি গুলি জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে, দুইটি তিন মিনিট আগে এবং শেষটি জামাত শুরুর এক মিনিট আগে ছোঁড়া হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মুসল্লিরা ঈদগাহে নামাজে অংশ নিয়েছেন। কেউ কেউ ছাতা ব্যবহার করছেন। কারও মাথায় পলিথিন। আবার কারও মাথায় ছাতা-পলিথিন পর্যন্ত নেই। খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজেই নামাজে অংশ নিয়েছেন অনেকে।
শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বৃষ্টির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে আসতে না পাড়ায় নামাজ শুরু হতে একটু দেরি হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। ঈদ নামাজে অংশ নেন- শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহদী হাসান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
টিএ