ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ ঘিরে নতুন রূপে সৈয়দপুরের ৩ পার্ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৯
ঈদ ঘিরে নতুন রূপে সৈয়দপুরের ৩ পার্ক নতুন রূপে সেজেছে সৈয়দপুর পার্ক। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: দেশের উত্তর জনপদের নীলফামারীর গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। বিমানবন্দর, সেনানিবাস, দেশের বৃহত্তম রেল কারখানাসহ নানা অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে অন্য সব উপজেলার চেয়ে সৈয়দপুর সম্পূর্ণ আলাদা। সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে এখানে গড়ে উঠেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন তিনটি বিনোদন পার্কও। যা বিগত দিনে সবার নজড় কেড়েছে। তবে এবার ঈদ ঘিরে নতুন রূপে সেজেছে পার্কগুলো। পাতাকুঁড়ি, রংধনু ও থিম পার্ক তিনটিতে এবার শিশু-কিশোরদের জন্য নানা রাইডের ব্যবস্থাও করেছে কর্তৃপক্ষ।

পাতাকুঁড়ি পার্ক
শহরের সৈয়দপুর-নীলফামারী ও সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে পাতাকুঁড়ি পার্ক। কয়াগোলাহাট মৌজায় প্রায় ১৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই পার্কে জিরাফ, হাতি, হরিণ, সিংহসহ কৃত্রিমভাবে বানানো আরও অনেক প্রাণী এবং জিনিসপত্র রয়েছে।

লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালিও।

এর মূল উদ্যোক্তা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই বিনোদন কেন্দ্রের সঙ্গে আরও চারজন রয়েছেন। একটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এখানে আমাদের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে জমির পরিধিও বাড়ানো হবে। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পার্কটি সাজানো হয়েছে নতুন করে। এখানে শিশুদের জন্য ছোট্ট পরিসরে বসানো হয়েছে চরকি, দোলনাসহ নানা খেলার মাধ্যম। পাশাপাশি সহজ যোগাযোগের কারণে বিনোদন পার্কটি বিকেল হলেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।

নতুন রূপে সেজেছে সৈয়দপুর পার্ক।  ছবি: বাংলানিউজ

রংধনু পার্ক
সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় এবং সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কের সঙ্গে মনোরম পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে বিনাদন পার্ক রংধনু। পার্কটির চারদিকে নদী থাকায় অনেকটা দ্বীপের মতো দেখায়। নদীতে থাকা ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে যেতে হয় পার্কে। সেখানে আছে সুইমিং পুল, দোলনা, ছোট বাচ্চাদের জন্য ট্রেন ভ্রমণ। এছাড়া পার্কজুড়ে লাগনো রয়েছে বিভিন্ন পশুপাখির স্থিরচিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কটির চারদিকে গাছগাছালি। প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে যেনো গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। সকাল-বিকেলে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রায় চার একর জমির ওপর নির্মিত এই পার্কটি গড়ে তুলছেন কুন্দল এলাকার আব্দুল মামুদ। দেখাশোনা করেন- তার ছেলে বুলবুল, রুবেল, অপু, তপু। কাজ এখনও বাকি অনেক। তবে দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে গেলো বছর ঈদুল ফিতরে চালু করা হয়, যাতে শহরবাসী একটু বিনোদন পায়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়, ঈদ ঘিরে আরেকটু নতুন করে সেজেছে পার্কটি।

রংধনুর বর্তমান প্রবেশমূল্য ধরা হচ্ছে ২০ টাকা। এখানে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড, এয়ার বেলুন ও আলাদিন, অক্টোপাসসহ শিশুদের চিত্তবিনোদনের সব ব্যবস্থ রাখা হয়েছে।

থিম পার্ক
শহরের ভেতরে ইসলামবাগ এলাকায় গড়ে উঠেছে থিম পার্ক। শহরের কাছে হওয়ায় পার্কটিতে ঈদের ছুটি ছাড়াও লোকজন পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসে। ফলে জমজমাট হয়ে উঠে বিনোদন পার্কটি। এখানে শিশুদের খেলার সব ধরনের খেলনা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আরও নতুন করে সাজানো হয়েছে এটি। এখানে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৩০ টাকা।

পার্কটির মালিক কাজী ময়নুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিনোদন পার্কটি অত্যাধুনিক ভাবে সাজানোর কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে এটি একটি আকর্ষণীয় বিনোদন পার্ক হবে বলে জানান তিনি।

নতুন রূপে সেজেছে সৈয়দপুর পার্ক।  ছবি: বাংলানিউজ

বাড়ির কাছে চিত্তবিনোদনের সুযোগ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ছোট্ট পরিসরে এসব বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলেও সবকটি পৌর এলাকায় অবস্থিত। ফলে শহরের শিশু-কিশোর ও হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছে এসব বিনোদন পার্কে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিনোদন পার্কে বিনোদনের নামে অশ্লীলতা করার কোনো সুযোগ নেই। এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।