পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী ট্রেনের ছাদে চড়তে দেখা যায় শত শত যাত্রীকে। এ ব্যাপারে রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ট্রেনের ছাদে ওঠা থেকে যাত্রীদের বিরত রাখা যাচ্ছে না।
যাত্রীরা বলছেন, আজ (মঙ্গলবার) সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে। বুধবার (৫ জুন) আমাদের দেশেও ঈদ হবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাই শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরতে ঝুঁকি একটু নিতে হবে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রংপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন আরিফুর রহমান। ঝুঁকি আছে বুঝেও ট্রেনের ছাদে চেপে বসেছেন তিনি। আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৯টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও শিডিউল বিপর্যয় হওয়ায় যাত্রী দ্বিগুণ হয়ে পড়েছে। তাই কোনো মত বাড়ি যেতে পারলেই হয়। ।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম সকালের ট্রেন মিস করেছেন। তাই তিনিও ছাদে উঠে বসেছেন। সাইফুল বলেন, পরিবার আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। গতকাল অফিস ছিল, তাই যেতে পারিনি। আজ যেভাবেই হোক বাড়ি পৌঁছাতে হবে। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়ার জন্য ছাদে উঠেছি।
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ছাদে কোনো যাত্রী উঠতে পারবে না। কিন্তু মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই যাত্রীদের ছাদে উঠতে দেখা যায় কোনো বাধা ছাড়াই।
এ ব্যাপার স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে ওঠা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। গতকাল থেকে গার্মেন্টসসহ সব অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই চেষ্টা করছি যাত্রীদের ছাদে ওঠা থেকে বিরত রাখতে, কিন্তু এটা পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএ/
** নাড়ির টান: জীবন হারানোর ঝুঁকি নিতেও রাজি