মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। তবে সোমবার (৩ জুন) রাতে দিকে জেলা সদর হাসপাতালের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেপারীপাড়ার জসিম উদ্দিন ও মনি আক্তার পপির পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি শিশু সন্তানও রয়েছে। জাসিম শহরের একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে অন্য একটি হাসপাতালে কর্মরত এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সোমবার রাতে ওই মেয়েকে নিয়ে জসিম শহরের কোর্ট রোড এলাকার একটি বিপণিবিতান সামনে ঘুরাঘুরি করছিল। পরে পপি ঘটনাস্থলে এসে তাদের হাতেনাতে ধরে কথা বলার জন্য সদর হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর কথা বলার জন্য উভয় পক্ষের স্বজনদের ডাকা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজের স্বজনদের ডেকে পালিয়ে যান জসিম।
পরে জসিমের স্বজনরা এসেই পপির স্বজনদের এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে। এসময় পপির চাচাতো ভাই সাগরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় নেওয়ার পথে সকালে সাগরের মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
জিপি