মঙ্গলবার (০৪ জুন) রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে বাংলানিউজের চোখে।
রংপুর এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট, নীলসাগর এক্সপ্রেস ২টা ৩৯ মিনিট ও ঈদ স্পেশাল লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ৩টা ০২ মিনিটে বিমানবন্দর রেল স্টেশন ছেড়ে যায়।
রংপুর এক্সপ্রেসের ছাদে বসে দিনাজপুর যাবেন প্রিন্টিং প্রেসের কর্মী মো. সুজন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ট্রেনে জায়গা নেই, কী করবো আর। বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে ঈদ করতেই হবে। হাতে সময়ও নেই। ট্রেন মিস করলেই আর বাড়ি যাওয়া হবে না। ঈদ করা হবে না। তাই ছাদে বসে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়া। নীলসাগর এক্সপ্রেসের ছাদে বসে টাঙ্গাইল যাবেন কনস্ট্রাকশন কর্মী মো. ইদ্রিস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ছাদে যাই তো কার কী বলার আছে। কেউ কিছু বলেনি। এছাড়া বাড়ি যাবো কোনো ভাড়াও নেই আমার কাছে। তাই ছাদে বসেই যাবো। বৃষ্টি নামলে, ভিজেই যেতে হবে। কিছু করার নেই।
ঈদ স্পেশাল লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের ছাদে বসে বগুড়া যাচ্ছেন মো. শহিদুল। নিউ মার্কেটের ট্রেইলার কর্মচারী তিনি। এসময় বাংলানিউকে বলেন, ১৫০ টাকা দিয়ে ট্রেনের ছাদে বসে যাচ্ছি। যাবো বগুড়া। ট্রেন মিস করলে আর বাড়িতে ঈদ করা হবে না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, ট্রেনের ছাদে বসে যাচ্ছি।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে কর্তব্যরত এক র্যাব কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেন মিস হলে মানুষ কীভাবে বাড়ি যাবে? মানবিক ব্যাপার আছে। আমরা এখানে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ করছি। ট্রেনের ছাদে যাত্রী গেলে, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। এটা দেখবে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশ কনস্টেবল মো. হাসান বাংলানিউজকে বলেন, হাজার হাজার লোক ট্রেনের ছাদে বসে আছেন। ছাদে বসেই বাড়ি যাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টি থেকেই এদের কিছু বলা যাচ্ছে না। আমাদের উপর মহল থেকে নির্দেশ আসলে, তখন কিছু বলবো। এছাড়া কিছু বলতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এমএমআই/টিএ