ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বহুদিন পর সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৯
বহুদিন পর সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: কাদের সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: বহুদিন পর এবারের সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ফেরার পথেও যেনো শোভন ও নিরাপদ হয় সরকার সে চেষ্টা করছে। শুধু ঈদ নয়, সারা বছর সড়ক এরকম স্বস্তিদায়ক থাকবে।

সরকারের অনুরোধের পরও অনেক মালিক অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্ন টার্মিনালে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছে।

এ পর্যন্ত হিমাচল, একুশে, ফতেহ আলী, হানিফ পরিবহনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান কাদের।  

সোমবার (০৩ জুন) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে মাত্র ৪ ঘণ্টা সময় লাগে পাবলিক পরিবহনে। আর ব্যক্তিগত পরিবহনে গেলে লাগে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টার ফলে। বহুদিন পর এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। যা সারা বছরই অব্যাহত থাকবে। জনগণের যাত্রা যাতে স্বস্তির হয় এজন্য বিভিন্ন দপ্তরে সভা করেছি। ফেরার পথেও যাতে যাত্রা স্বস্তির হয়।  

তিনি বলেন, আমি দুইটি টার্মিনালে গিয়েছি। সেখানে অভিযোগ পেয়েছি। বাস মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। মালিকরা জানান, তারা ঈদে বাস ভরে যাত্রী নিলেও আসতে হয় খালি। এজন্য আমরা বলেছি আপনারা সারা বছর অনেক আয় করেন। ঈদের সময় একটু কম আয় বা লাভ কম করেন। তবে এতে কতটুকু কাজ হবে জানি না। সব কথায় কাজ হলে দেশ সোনার বাংলাদেশ হয়ে যেতো। বিপদে পড়ে জনগণ, বিপদ আমরা সৃস্টি করি না, বিপদ সৃষ্টি করে প্রভাবশালীরা।  

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার খুবই অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা নেই। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এটা করতে পারলে শৃঙ্খলাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় যানজট, জনজট ও জলজট এ তিন মিলে একাকার। এই জট নিরসনে শিগগিরই পদক্ষেপ নিতে হবে। এবিষয়ে ঈদের পর ডিটিসিএ এর সভা হবে। সেখানে দুই সিটির মেয়রও থাকবে। বছরের পর বছর ধরে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা চলছে। এখানে আমাদেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আমরা পরিকল্পনায় নষ্ট করেছি। কোনো লাভ হয়নি। এখন আমরা ঢাকা সিটির যানজট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, বিআরটিসির নতুন গাড়িগুলো আমাদের জনগণের দূরপাল্লায় যাতায়াতে ভালো ভূমিকা রেখেছে। হিমাচল পরিবহন প্রতি বছরই অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য একটি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান। আমি বিআরটিএকে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে মালিকদের লোভ লালসার মানসিকতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আমাদের নতুন আইন বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হবে। শুধুমাত্র অবকাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে যানজট নিরসন সম্ভব নয়। এজন্য শৃঙ্খলা আনাসহ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে আশা করছি ঢাকা থেকে পুরোপুরি যানজট নিরসন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।