ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুরের হরিপুর জমিদার বাড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৯
ঈদে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুরের হরিপুর জমিদার বাড়ি হরিপুর জমিদার বাড়ি, ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: ঘনিয়ে আসছে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে সপরিবার ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নম্বর চান্দ্রা ইউনিয়নের ঐতিহাসিক হরিপুর জমিদার বাড়ি (চৌধুরী বাড়ি)। জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাড়ির অবস্থান।

প্রায় ৫’শ বছরের পুরনো বাড়িটির প্রতিটি ভবনে রয়েছে রাজমিস্ত্রি কারুকাজ। যা দেখলেই জমিদারদের কথা মনে পড়বে।

ঈদের ছুটিটা কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসতে পারেন হরিপুর জমিদার বাড়ি। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে নেমে অথবা ট্রেনে শহরের কালীবাড়ী কোর্ট স্টেশন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে হরিপুর জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে। ভাড়া নেবে ১৫০ থেকে ২’শ টাকা।

বাড়িটির প্রবেশ মুখেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সিনিয়র মাদ্রাসা, একটি এতিম খানা ও জমিদারদের তৈরি জমিদার বাড়ি মসজিদ ও মেহমান খানা। রয়েছে বড় বড় দু’টি দীঘি। দীঘির পাড়ে রয়েছে সময় কাটানোর জন্য সান বাঁধানো ঘাট। বাড়ির চার পাশে রয়েছে বহু প্রজাতির গাছ। গ্রামের প্রাকৃতিক এ দৃশ্য দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে।

ঐতিহাসিক এ বাড়িতে ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে জমিদার মহাম্মদ রাজা চৌধুরী ‘চৌধুরী হাউস’, ‘শহীদ মঞ্জিল’, মতি রাজা চৌধুরী ‘মতি মহল’, এলাহী চৌধুরীর নামে ‘এলাহী বক্স কামরা’সহ প্রায় আটটি ভবন তৈরি করেছেন। এসব বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এসব বাড়ি। মসজিদের পাশেই রয়েছে জমিদারদের কবর। পাথরে খোদাই করা আছে তাদের মৃত্যুর সন ও তারিখ।

জমিদার বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, তাদের সাত দাদা জমিদার ছিলেন। সবাই মারা গেছেন। তবে, তাদের বংশধরদের কয়েকটি পরিবার এখন এ বাড়িতে বসাবাস করেন। বাকিরা কমংস্থানের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন। চাঁদপুর শহরের ঐতিহাসিক চৌধুরী মসজিদ, চৌধুরী পাড়া, চৌধুরী ঘাট এলাকাটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে, তারাই এগুলো করেছেন। চৌধুরী পাড়াতে তাদের অনেকেই থাকেন। জমিদার বাড়িগুলো এখন দেখভাল করার জন্য সাতটি পরিবার রয়েছেন।

চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ঐতিহাসিক এ বাড়িটি প্রায় ৫’শ বছরের পুরনো। প্রাকৃতিক পরিবেশের এ বাড়িটি যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।