রোববার (০২ জুন) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত সোহেল রানা উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের খলিলুর রহমান প্রামাণিকের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সকালে বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা মহল্লায় ঈদগাহ মাঠ সাজানোর টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের সঙ্গে একই গ্রামের রাজিব হোসেনের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোহেল রানা বনপাড়া রশিদ ডিলারের মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এসময় রাজিবসহ ৫-৬ জন যুবক ওই ঘটনার জের ধরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান।
ওসি বলেন, রাতে এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯
এসএইচ