কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনে এবার তা হচ্ছে না। ট্রেনের ছাদ একেবারে ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে।
রোববার (০২ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে এমন চিত্র।
কমলাপুর থেকে সারাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রতিবছরের নিয়মিত ট্রেনগুলো ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে চলা শুরু করেছে ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো। কিন্তু কোনো ট্রেনের ছাদে ভ্রমণরত যাত্রীদের লক্ষ্য করা যায়নি।
পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত শিপন নামে এক যাত্রী নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছেন রংপুরে যাবেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ি রংপুরে। চাকরি করি নোয়াখালীতে। আমি সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। ঈদে ট্রেনে এতো ভিড় হয় যে, সিট না পেয়ে অনেক সময় ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকাটাও অনেক কষ্টকর। তাই ছাদে উঠে যেতাম। কিন্তু এবার তা হবে না। কষ্ট হলেও ট্রেনের ভেতরে বসে বা দাঁড়িয়েই যাবো। কেননা যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন পুলিশেরও ব্যাপক কড়া। আগে টাকা দিয়ে যেতাম, তা এখন আর হবে না।
এদিকে ট্রেনে যাত্রীরা ছাড়াও পথশিশুদের দেখা যায়, ট্রেনের ছাদে বসে ভ্রমণ করতে। কিন্তু এবার তাদেরও ট্রেনের ছাদে দেখা যায়নি।
পথশিশুদেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রেনের ছাদে উঠলেই রেলওয়ে পুলিশ এসে নামিয়ে দেয়। তাই এখন তারাও উঠতে পারে না।
কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনের ছাদে না উঠার ব্যাপারে কড়াকড়ি নির্দেশনা রয়েছে। আমরাও এক্ষেত্রে তৎপর রয়েছি। শনিবার ছাদে উঠার জন্য আমরা ৩৫ জনকে শাস্তিস্বরুপ জরিমানা করেছি। তবে এখনও কমলাপুরে রেলস্টেশনগুলোতে ঈদ উপলক্ষে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি।
পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলেই টেনের যাত্রীদের চাপ বাড়বে। তখন ছাদে উঠে ভ্রমণের ব্যাপারে কি পদক্ষেপ রয়েছে?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এদিকে খেয়াল রাখছি। আবার ঈদে ঘরমুখো মানুষকেও বাড়ি যেতে হবে। সবমিলিয়ে আমরা চেষ্টা করবো ঘরমুখো মানুষ যেন ছাদে ভ্রমণ না করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
এমএএম/এএটি