সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ১০টা পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় খানিকটা থাকলেও বৃষ্টি নামতেই তা কমে যায়। তবে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, ঈদের আগের শেষ কর্মদিবস সোমবার (৩ জুন) বিকেলে ভিড় বাড়বে এই টার্মিনালে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা মাসুক আহমেদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাগুরা যাচ্ছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গাবতলী এসেই আজকের টিকিট পেয়েছি। ঈদের কারণে টিকিটের দাম একটু বেশি নিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে যাচ্ছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আমি ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতাম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আসমা আক্তার বলেন, বহুদিন বাদে ঈদ করতে বরিশালের বাড়ি যাচ্ছি। সবার সঙ্গে দেখা হবে। অনেক আনন্দ হবে। এক সপ্তাহ আগেই অনলাইনে টিকেট কেটেছিলাম।
রোকিয়া পরিবহনের টিকিট মাস্টার আক্কাস আলী বলেন, সকালে যাত্রী ছিল। দুই ঘণ্টা বৃষ্টির কারণে যাত্রী কমে গেছে। আশা করছি আগামীকাল যাত্রীদের ভিড় থাকবে গাবতলী বাস টার্মিনালে। চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
সুবর্ণ পরিবহনের স্টেশন ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, আজকেও তেমন যাত্রীদের চাপ নেই। সকালে অগ্রিম টিকিট যাত্রীদের কিছু চাপ ছিল। তিন-চার তারিখে যাত্রীদের চাপ থাকবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী নির্বাহী হাকিম সেলিমা খান বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গাবতলী বাস টার্মিনালে বিআরটিএ’র পাঁচটি ভিজিল্যান্স টিম আছে। যাত্রীদের সমস্যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যদি কোনো যাত্রী অভিযোগ করেন যে তাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, আমরা মেটানোর চেষ্টা করি। সকালে একজন যাত্রী মৌখিক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, আমরা সেটা মিটিয়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/